হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের উরুমিয়া প্রদেশের ইমাম খোমেনী (রহ.) মসজিদে অনুষ্ঠিত “সভ্যতার বিনির্মাতা বিদ্বান আলেমগণ”- শীর্ষক তৃতীয় সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, আমরা বর্তমানে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মবার্ষিকী ও ‘ঐক্যের সপ্তাহ’-এর দিনগুলো অতিক্রম করছি। এ সময়টি মুসলিম উম্মাহর জন্য আনন্দ ও বরকতের দিন। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, রাসূল (সা.) নবুওতের মাধ্যমে মানুষকে তাগুতের হাত থেকে মুক্ত করেছেন এবং উম্মাহর হেদায়াতের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
শেখ কাসেম বলেন,
“ইসলামের নবী (সা.) মুসলমানদের বিভেদ থেকে সতর্ক করেছেন এবং জালেম ও তাগুতের মোকাবিলায় ঐক্যের পতাকাতলে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সুতরাং আমাদের অবশ্যই একটি ঐক্যবদ্ধ উম্মাহ হয়ে উঠতে হবে।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে শত্রুরা মুসলমানদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে আসছে এবং এ সুযোগকে ব্যবহার করে আমাদের পরস্পর থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। অথচ আল্লাহ তাআলা কুরআনে স্পষ্টভাবে মুসলমানদের ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব রক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ফিলিস্তিনি ওলামা পরিষদের প্রধান আরও বলেন, “আজকের যুগ যোগাযোগের যুগ। গাজার মাজলুম মানুষের আর্তনাদ গোটা বিশ্বে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। এ সময়ে সবার কর্তব্য হচ্ছে তাদের আহাজারি শোনা এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো।”
তিনি ইতিহাসের উদাহরণ টেনে বলেন,
“কারবালায় কিছু লোক ধর্মের নামে ইমাম হুসাইন (আ.)-কে শহীদ করেছিল। আজও তথাকথিত মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নামে গাজার মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, অল্প কিছু মুসলিম দেশ ছাড়া বাকিরা নীরব দর্শক হয়ে আছে।”
শেখ কাসেম শেষাংশে ইরান, ইয়েমেন, ইরাক ও লেবাননের প্রশংসা করে বলেন, “এই দেশগুলোর মুসলমানরা সর্বদা ফিলিস্তিনিদের পাশে রয়েছে এবং তাদের সহায়তা করছে। কিন্তু অন্যান্য মুসলিম দেশগুলো এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।”
আপনার কমেন্ট